কেশবপুরে নার্গিস পারভীন নামের এক সাংবাদিক স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে চাওয়ায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ এর বেধড়ক মারপিটে গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত নারী কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে পৌরশহরের শ্রীগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়। সে কেশবপুর আলিয়া মাদ্রাসায় আয়ার চাকরি করেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার তাহমিনা পারভীন এর মেয়ে নার্গিস পারভীন স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ এর সাথে পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সুবাদে তাকে কাছে পাওয়ার আশায় প্রেসক্লাবের সদস্য করে নেন এবং বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাকে নিয়ে ঘুরে ফিরে বেড়ায় বেশ দাপটের সাথে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই চলতে থাকে তাদের দু’জনের মধুর সম্পর্ক।
তাদের এই এহেনদেহেন কর্মকান্ডের চিত্র এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে জোরেশোরে। মাঝে মধ্যে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার কথাও শোনা যায় মানুষের৷ মুখেমুখে। কিন্তু তারা দুজনেই সাংবাদিকের পরিচয় বহন করে বলে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এমতাবস্থায় তাদের সম্পর্ক আরো পাকাপোক্ত করতে প্রায় ১১ মাস আগে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে কাবিন করে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর সাংবাদিক এস আর সাঈদ তার স্ত্রীকে পৌরশহরের শ্রীগঞ্জ ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেয়।
সেখানেই যাতায়াত শুরু করে সাঈদ। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে স্বামী-স্ত্রীর মধুর মেলামেশা। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি গোপন করে রাখার জন্য এলাকার মানুষের মধ্যে শুরু হয় তাদের ঘিরে নানা গুঞ্জন। অনেকেই ধারণা করে তাদের মধ্যে অবৈধভাবে সম্পর্ক রয়েছে। এলাকায় লোকমুখে নানাবিধ গুঞ্জনের কথা শুনে নার্গিস তার স্বামী সাঈদকে বলে আমি আর বিয়ের বিষয়টা গোপন করতে পারছিনা।
লোকজন আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করছে। আমাকে যখন বিয়েই করছো, তাহলে আর দেরি করে লাভ কি। তোমার আমার মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা সবার সামনে এখন প্রকাশ করা খুবই জরুরি। তা-না হলে লোকজন আমাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেই যাবে।
এই কথা শুনে সাঈদ বলে এখন সময় হয়নি প্রকাশ করার, সময় লাগবে। এই কথা বলার পর আমি আবারও অনুরোধ করি, দেখ আমি আর পারছিনা তোমার-আমার বিয়ের বিষয়টা গোপন রাখতে। এখন আমিতো একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি আমারতো মানসম্মান বলে তো কিছু আছে।
এই কথা শুনে আমার স্বামী রাগান্বিত হয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করেছে এবং প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই গলাটিপে মেরে ফেলার চেষ্টা চালান।
আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসি উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। মানসম্মানের বিষয় বলে আমি কাউকে কিছু জানায়নি এমনকি আমার মাকেও বলিনি।